শিক্ষা সনদের বৈধতা দেখাতে পারেননি

যমুনা লাইফের মুখ্য নির্বাহী পদে কামরুল হাসানের নিয়োগ নবায়ন না-মঞ্জুর

Passenger Voice    |    ০২:০৮ পিএম, ২০২৪-০৪-০৬


যমুনা লাইফের মুখ্য নির্বাহী পদে কামরুল হাসানের নিয়োগ নবায়ন না-মঞ্জুর

যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে কামরুল হাসান খন্দকারের নিয়োগ নবায়নের আবেদন না-মঞ্জুর করেছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সমতাকরণ ও বৈধতার প্রত্যয়নপত্র দাখিল না করায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

কর্তৃপক্ষের পরিচালক (উপসচিব) আহম্মদ এহসান উল হান্নান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে। গত ১৯ মার্চ ২০২৪ তারিখে এই চিঠি পাঠিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ।

উল্লেখ্য, এর আগে কামরুল হাসানের শিক্ষা সনদের বৈধতা নিয়ে দু’দফা সংবাদ প্রকাশ করে গণমাধ্যম । এর মধ্যে গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ‘যমুনা লাইফের মুখ্য নির্বাহীর নিয়োগ নবায়ন: কামরুল হাসান এবার বিএসএস-এমবিএ পাস!’ শীর্ষক সংবাদের জেরে তার সনদ যাচাইয়ের উদ্যোগ নেয় আইডিআরএ।

এর আগে ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর ‘অযোগ্য কামরুলকে নিয়োগ দিতে যমুনা লাইফের আবেদন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে একটি সংবাদমাধ্যম। তবেই ওই সংবাদের পরও কামরুল হাসান খন্দকারের নিয়োগ অনুমোদন দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।

আইডিআরএ’র চিঠিতে বলা হয়েছে, যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান খন্দকার তার বিদেশি এমবিএ ডিগ্রির মান সংশোধিত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালা-২০১২ এর (৩)(ক) অনুযায়ী  সমতাকরণ করেননি।

এ ছাড়াও পরবর্তীতে দাখিলকৃত তার ইবাইস ইউনিভার্সিটির দু’টি সনদপত্রের বৈধতার বিষয়েও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)’র প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে পারেননি কামরুল হাসান খন্দকার।

উল্লেখিত দু’টি কারণে যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে কামরুল হাসানের নিয়োগ নবায়নের আবেদন না-মঞ্জুর করা হয়েছে বলে চিঠিতে জানিয়েছে আইডিআরএ।

সূত্র মতে, কামরুল হাসানের নিয়োগ নবায়নের আবেদন করা হয় ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর। ওই আবেদনে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করা হয় ভারতের উত্তর প্রদেশের ডিমড ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০২ সালে দূরশিক্ষণে এমবিএ পাস।

এই আবেদনের ২৯ দিন পর গত ৬ ডিসেম্বর আইডিআরএ’কে পাঠানো একটি চিঠিতে কামরুল হাসানের শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে ইবাইস ইউনিভার্সিটির দু’টি সনদ দাখিল করা হয় এবং সেগুলো তার আবেদনে যুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়।

ইবাইস ইউনিভার্সিটির সনদপত্র অনুসারে কামরুল হাসান খন্দকার বিএসএস পাস করেছেন ২০১৯ সালে এবং এমবিএ পাস করেন ২০২১ সালে।

পরবর্তীতে কামরুল হাসানের বিদেশি এমবিএ ডিগ্রির মান সমতাকরণ এবং ইবাইস ইউনিভার্সিটির সনদপত্র দু’টির বৈধতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে বলে আইডিআরএ।তবে কামরুল হাসান তার বিদেশি ডিগ্রির মান সমতাকরণ বা ইবাইস ইউনিভার্সিটির সনদপত্র দু’টির বৈধতার বিষয়ে কোন প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে পারেননি।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে কামরুল হাসান খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন কথা বলেননি।